Showing posts with label Planning. Show all posts
Showing posts with label Planning. Show all posts
তৈরি পোশাক শিল্প হচ্ছে বাংলাদেশের অর্থনৈতির সবচেয়ে বড় খাত।
বিগত ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে এই খাত থেকে মোট রপ্তানি হয়েছে ৩৪.১৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার
যা তার আগের অর্থবছরের তুলনায় ১১.৪৯% বেশি।
BGMEA এর তথ্য মতে বর্তমানে দেশে ছোট বড় প্রায় ৪ হাজারের মত গার্মেন্টস রয়েছে।
এগুলোর মধ্যে যেমন রয়েছে বিশ্বমানের প্রতিষ্ঠান তেমনি রয়েছে নিবন্ধন ছাড়া
কারখানাও। সবগুলো গার্মেন্টস এর অবদানই গুরুত্বপূর্ণ। তবে বৈশ্বিক মানে এগিয়ে থাকা
১০টি গার্মেন্টসকে নিজেদের গর্ব বলে দাবি BGMEA এর।
সম্প্রতি কানাডাভিত্তিক বিজনেস
ওয়েবসাইট BizVibe এই ১০টি শীর্ষ গার্মেন্টস কোম্পানি নিয়ে একটি বিশেষ প্রতিবেদক
প্রকাশ করেছে। যেখানে উঠে এসেছে বাংলাদেশের রপ্তাতি ও কোয়ালিটিতে এগিয়ে থাকা ১০ টি
কারখানার নাম ও তাদের সম্পর্কে বিশেষ কিছু তথ্য।
০১. হামীম গ্রুপ:
✔ ৩০ বছর ধরে এই কোম্পানিটি বাংলাদেশের পোশাক শিল্পে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে আসছে।
✔ ৩০ বছর ধরে এই কোম্পানিটি বাংলাদেশের পোশাক শিল্পে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে আসছে।
✔ রয়েছে মোট ২৬
টি ফ্যাক্টরি ।
✔ রয়েছে প্রায় ৫০
হাজার শ্রমিক।
০২. বেক্সিমকো ফ্যাশন লিমিটেড:
✔ প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৯৭ সালে।
✔ প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৯৭ সালে।
✔ USA, CANADA,
Europe সহ নামিদামী ব্র্যান্ডের জন্য বছরে
প্রায় ৬ মিলিয়ন পিসেরও বেশী পোষাক রফতানি করে থাকে।
০৩. ডিবিএল গ্রুপ:
✔ বিভিন্ন দেশে ডিবিএল গ্রুপের বড় বাজার রয়েছে।
✔ বিভিন্ন দেশে ডিবিএল গ্রুপের বড় বাজার রয়েছে।
✔ পুমা, জি-স্টার
সহ বড় বড় ব্র্যান্ড এর জন্য প্রতিষ্ঠানটি পোশাক তৈরি করছে।
✔
২০১৬ সালে প্রতিষ্ঠানটি অর্জন করে আইসিএমএবি বেস্ট কর্পোরেট
অ্যাওয়ার্ড।
✔ ২০১৭ সালে প্রতিষ্ঠানটি
অর্জন করে এইচএসবিসির ক্লাইমেট অ্যাওয়ার্ড ও আইসিকিউসিসি গোল্ড অ্যাওয়ার্ড।
০৪. স্কয়ার ফ্যাশন লিমিটেড:
✔ প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৯৭ সালে।
✔ প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৯৭ সালে।
✔
প্রতিষ্ঠানটি শ্রমিকদের নানা সুযোগ সুবিধা দেয়ার জন্য সর্বমহলে বিশেষভাবে পরিচিত।
✔
বর্তমানে রয়েছে দুটি গার্মেন্টস ইউনিট ও দুটি ফেব্রিক ইউনিট।
০৫. ওপেক্স সিনহা গ্রুপ:
✔ পোশাক খাতে বছরে ৩০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি রফতানি করে থাকে এই গ্রুপটি।
✔ পোশাক খাতে বছরে ৩০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি রফতানি করে থাকে এই গ্রুপটি।
০৬. ইপিলিয়ন গ্রুপ:
✔ প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৯৪ সালে।
✔ প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৯৪ সালে।
✔
এমপ্লয়িদের বেস্ট সার্বিস প্রদানের জন্য বেশ সুপরিচিত।
✔
পণ্যের গুণগত মানের জন্যেও বিখ্যাত ক্রেতাদের কাছে।
০৭. এশিয়ান এপারেলস লিমিটেড:
✔ প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৯২ সালে।
✔ সুন্দর ও মনোরম কাজের পরিবেশের জন্য বিখ্যাত।
০৮. ফকির গ্রুপ:
✔
ভাল কোয়ালিটির পণ্যের জন্য ক্রেতাদের কাছে খুবই প্রিয়।
০৯. গিভেন্সি গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রি লিমিটেড:
✔ প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৮২ সালে।
✔ কর্মরত শ্রমিক রয়েছে প্রায় ১৭,০০০
১০. স্ট্যান্ডার্ড গ্রুপ:
✔ প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৮৪ সালে।
✔ গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রিতে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি
ব্যবহারে এগিয়ে।
একজন মানুষকে খুব অল্প সময়ে যাচাই করার সবচেয়ে উত্তম ও সার্বজনীর মাধম হলো মৌখিক বা ভাইভা পরীক্ষা। তবে একেক ম্যানেজমেন্ট একেকভাবে ভাইবার মাধ্যমে তাদের
এমপ্লয়িদের নির্বাচন করে থাকে। ইন্ডিয়ান ও শ্রীলংকান ম্যানেজমেন্ট এর ভাইভার
নেওয়ার স্টাইল প্রায় একই রকম। নিচে তাদের সাথে ভাইভার কমন কিছু অভিজ্ঞতা শেয়ার করা
হলো।
৫. তারা বিভিন্ন প্রশ্ন করে আপনার
Confidence, Sincerity & Punctuality টেস্ট করে নিবে। তাই
ভেবে-চিন্তে ঘুছিয়ে উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করুন। কোন প্রশ্ন না পারলে, না প্যাচিয়ে
ভদ্রভাবে বলে দিন উত্তরটি আপনার জানা নেই। তারা এটাই পছন্দ করে।
১. তারা প্রায় ৯৯% ক্ষেত্রে
ইংরেজিতে ভাইবা গ্রহণ করে থাকে।
২. আপনি যে ইউনিভার্সিটি বা যেই সাবজেক্ট থেকেই
পড়াশোনা করে যান না কেনো, যদি আপনি ভাইভা বোর্ড পর্যন্ত সিলেক্টেড
হোন তাহলে তারা ধরে নিবে যে, আপনি যে পোস্ট এর জন্য আপনি ভাইভা
দিচ্ছেন সে সম্পর্কে আপনি সব জানেন। তাই তারা যে কোন স্থান থেকে প্রশ্ন করতে পারে।
তাই আপনাকে আপনার পোস্ট অনুযায়ী সার্বিক প্রস্তুতি নিয়ে যেতে হবে।
৩. আপনি যে কোম্পানিতে ভাইভা দিতে যাচ্ছেন সেই
কোম্পানি সম্পর্কে তারা আপনাকে অনেক কিছু জিজ্ঞেস করবে। আপনি
ভাবতে পারেন আপনি নতুন এই কোম্পানি সপর্কে না জানারই কথা। তারা
এই বিষয়টি দিয়ে এই কোম্পানিতে জব করার জন্য আপনিই কতটা সিরিয়াস তা যাচাই করে নেয়।
৪. বরাবরের মতো তাদের কিছু
কমন প্রশ্ন হলো-
1. Tell me something about yourself/Introduce yourself/Explain about yourself.
2. Why you want to change the current job?
1. Tell me something about yourself/Introduce yourself/Explain about yourself.
2. Why you want to change the current job?
3. Why we hire you?/Why you think that you are the right
person for this post?
4. What is your mission & vision?
5. How you will manage this post if we select you?
নির্দিষ্ট
সময়ে প্রোডাকশন করা ও সঠিক সময়ে শিপমেন্ট দেওয়ার জন্য গার্মেন্টস এর বিভিন্ন
সেকশনের জন্য একটি গঠনমূলক প্ল্যান খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তবে সেই প্ল্যান যদি যে কোন
একটি সেকশন যথাযথভাবে অনুসরণ না করে তাহলে সঠিক সময়ে শিপমেন্ট দেওয়া খুব কঠিন হয়ে
পড়ে। আবার অনেক ক্ষেত্রে বিভিন্ন কারণে প্ল্যান অনুসরণ করা সম্ভব হয় না। ফলে সময়
এয়ার শিপমেন্ট হয় অথবা শিপমেন্ট ফেইল হয়। নিচে প্ল্যান ফেইল হওয়া ও শিপমেন্ট দেরি হওয়ার
গুরুত্বপূর্ণ কিছু কারণ নিয়ে আলোচনা করা হলো।
১। Product development and Sampling Stage এ দেরি
Product development and sampling হচ্ছে
একটি Pre-Production Process. বায়ার অর্ডার কনফার্ম করার পর অর্ডারের একটি ডামি তৈরি করে গার্মেন্টসের
সকল প্রসেস করা হয়। কোথাও কোন Critical Issue পেলে তা রেকর্ড
করে রাখা হয় যাতে Bulk Production এ যাওয়ার আগে সেই Critical
Issue গুলো সম্পর্কে আগে থেকেই সতর্ক হওয়া যায়। তাছাড়া ডামি গার্মেন্টস থেকে নিচের
কিছু Aprroval সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়-
ক। Yarn Approval
খ। Lab Dip
Approval
গ। Shade
Approval
ঘ। Trims/Accessories
Approval
ঙ। Garments
Sample Approval ইত্যাদি।
যদি প্রাথমিক স্টেজে Approval গুলো কোন কারণে Delay হয় তাহলে প্ল্যানের ধারাবাহিকতা নষ্ট
হয় যা সঠিক সময়ে প্রোডাকশনে শেষ করতে ও শিপমেন্ট দিতে সমস্যা হয়।
২। Raw Materials Sourcing and In-house এ দেরি
নির্দিষ্ট সময়ে
Raw Materials যদি ফ্যাক্টরীতে Inhouse না হয়,
তাহলে প্ল্যান ও প্রোডাকশন দুই’ই বাধাগ্রস্থ হয়। অনেক সময় দেখা যায় সুইং লাইনে
কাটিং থেকে ইনপুট ঢুকে গেছে কিন্তু Care Label বা Button
আসেনি। ফলে সব কিছু প্রস্তুত থাকলেও শুধু একটি বা দুটি Raw Materials এর
জন্য সুইং লাইনের প্রোডাকশন বন্ধ রাখতে হয়। এক্ষেত্রে অবশ্যই নির্দিষ্ট লীড টাইমের
মধ্যে একটি স্টাইলের জন্য সব রকম Raw Materials যাতে প্রোডাকশন শুরু
হওয়ার আগে ফ্যাক্টরীতে In-housed থাকে
সে দিকে সংশ্লিষ্ট ডিপার্টমেন্টে আগে থেকেই সতর্ক থাকতে হবে।
৩। Trim/Accessories এর খারাপ Quality
অনেক সময় দেখা
যায়, ফ্যাক্টরীতে সঠিক সময়ে সব ধরণের Raw Materials আগে থেকেই In-housed করা হয়েছে, কিন্তু সুইং লাইনে প্রোডাকশন করার সময় লক্ষ্য করে দেখা গেল Trim/Accessories
এর Quality খুব খারাপ। ফলে সেই Trim/Accessories
গার্মেন্টসে ব্যবহার করার কারণে গার্মেন্টসগুলো ত্রুটিপূর্ণ হয়ে
গেল। এক্ষেত্রে Re-work প্রচুর বেড়ে যায়। ফলে সঠিক সময়ে
কাঙ্ক্ষিত প্রোডাকশন করা যায় না । যার কারণে প্ল্যান ফেইল হয়ে শিপমেন্টের উপর
প্রভাব ফেলে। এজন্য ইনপুট সুইং লাইনে ঢুকার পূর্বেই সব ধরণের Trim/Accessories
এর Quality চেক করে Good Quality নিশ্চিত করতে
হবে।
৪। প্রোডাকশন দেরিতে
শুরু হওয়া
সব ধরণের Approval, Raw materials In-house এবং Trim/Accessories
এর Quality নিশ্চিত করতে যদি সময় বেশি লেগে যায় তাহলে প্রোডাকশনও
দেরিতে শুরু করতে হয়। ফলে প্রোডাকশন শেষ করার জন্যও সময় খুব কম পাওয়া যায়। এজন্য
তাড়াহুড়া করে কাজ করেও নির্দিষ্ট সময়ে প্রোডাকশন শেষ করা কঠিন হয়ে পড়ে। এক্ষেত্রে
অনেক সময় রাতে ওভার-টাইম করে কাজ করতে হয়। এই তাড়াহুড়ার ফলে পণ্যের কোয়ালিটি ঠিক
রাখা কঠিন হয়ে পড়ে। ফলে Reject ও Re-work বেড়ে যায় ও সঠিক সময়ে প্রোডাকশন শেষ
করা যায় না যা শিপমেন্টের উপর মারাত্মক প্রভাব ফেলে।
৫। সাব-কন্ট্রাক্ট ফ্যক্টরী থেকে দেরিতে
গার্মেন্টস ডেলিভারি পাওয়া
ফ্যাক্টরীর যদি অভার-লোডে থাকে বা গার্মেন্টসে এমন
কিছু জটিল প্রসেস থাকে যা ফ্যাক্টরীতে করা সম্ভব নয় তাহলে কোম্পানিকে সাব-কন্ট্রাক্ট ফ্যক্টরীতে কাজ দিতে হয়। সাব-কন্ট্রাক্ট
ফ্যক্টরী যদি নির্দিষ্ট সময়ে কাজ ডেলিভারি না দেয় তাহলে প্ল্যান ঠিক রাখা ও সঠিক
সময়ে শিপমেন্ট দেওয়া কঠিন হয়ে পড়ে।
Production Planning and Control
(PPC) যে কোন Service এবং Production organization এর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি
ডিপার্টমেন্ট। কারণ সঠিক প্ল্যান ও তার বাস্তবায়ন ছাড়া কোন কাজই ভালভাবে শেষ করা যায় না।
অনেক গার্মেন্টস এবং টেক্সটাইল ফ্যাক্টরী আছে যেখানে কোন আলাদা Production
Planning and Control
ডিপার্টমেন্ট নেই। অনেক ছোট ছোট ফ্যাকটরী আছে যেখানে কোম্পানীর GM,
ED বা Director মৌখিক প্ল্যানের মাধ্যমে ফ্যাক্টরী
চালায়। যখন যে অর্ডার তাদের কাছে ইমারজেন্সি মনে হয় সেটিই আগে প্রোডাকশন করে।
এক্ষেত্রে দূরদর্শী প্ল্যান না থাকায় ১০/১৫ দিন বা আরো পরে পরে পরিস্থিতি কি হবে
তা অনুমান করা যায় না। ফলে সুইং লাইন মাঝে মাঝে খালি হয়ে যায় আবার মাঝে মাঝে টানা
কয়েক রাত অভার টাইম করতে হয়।
আবার
কিছু কিছু ফ্যাক্টরীতে ছোট পরিসরে PPC ডিপার্টমেন্ট থাকলেও তারা সেই প্ল্যান পুরোপুরি
Execute করতে পারে না। কারণ অনেক সময় মার্চেন্ডাইজিং,
সাপ্লাই চেইন ও প্রোডাকশন ডিপার্টমেন্ট থেকে প্ল্যানিং ডিপার্টমেন্ট ভাল সাপোর্ট
পায় না।
আবার
কিছু কিছু ক্ষেত্রে PPC ডিপার্টমেন্টের লোকেরা প্ল্যান দেওয়ার পর প্ল্যান অনুযায়ী
ফ্লোর চলছে কিনা সে ব্যাপারে সচেতন থাকে না। ফলে প্রোডাকশনের লোকেরাও প্ল্যান Execution
এর ব্যপারে সিরিয়াস থাকে না। সর্বোপরি, সেই
প্ল্যানের কোন কার্যকারিতা থাকে না।
একটি
ভাল PPC ডিপার্টমেন্ট
ও কার্যকরি প্ল্যান একটি কোম্পানির প্রায় ২০% সময় বাঁচাতে ও ৯৭-১০০% সঠিক সময়ে শিপমেন্ট দিতে সাহায্য করতে
পারে।
Production
Planning and Control
ডিপার্টমেন্ট এর জন্য কিছু করণীয় দিকসমূহ-

১। কোম্পানি সকল অর্ডার একটি নির্দিষ্ট ডাটাবেসে এন্ট্রি করতে হবে। এক্ষেত্রে MS Excel ব্যবহার করা যেতে পারে। যদিও
বর্তমানে অনেক ধরণের প্ল্যানিং সফটওয়্যার পাওয়া যায়।
২। শিপমেন্ট তারিখের ক্রমানুযায়ী অর্ডারগুলোকে সাজাতে হবে।
৩। প্রত্যেকটি অর্ডারকে মোট লীড টাইমের মধ্যে Event অনুযায়ী ভাগ করতে হবে।
যেমন,
নিটিং বা অয়েবিং করতে হলে সূতার In-house
Date থেকে শুরু করে,
ক. নিটিং/ওয়েবিং
লীড টাইম
খ.
ডাইং লীড টাইম
গ.
কাটিং লীড টাইম
ঘ. Trim/Accessories লীড টাইম
ঙ.
সুইং লীড টাইম
চ.
ফিনিসিং লীড টাইম
ছ.
প্যাকিং লীড টাইম ইত্যাদি।
উপরের সময়গুলো শিপমেন্ট ডেট থেকে ৩/৪ দিন সময় হাতে
রেখে সেট করতে হবে। যাতে যে কোন অনাকাঙ্ক্ষিত সমস্যা হলে তা সেই সময়ের মধ্যে
কাটিয়ে উঠা যায়।
৪। প্রত্যেকটি Event এর জন্য সময় নির্ধারণের পর সকল অর্ডার একটি নির্দিষ্ট প্লান শীটে
ক্রমানুযায়ী সাজালে সহজেই কোম্পানীর সামগ্রিক লোড সম্পর্কে জানা যাবে ও Critical
Order গুলো চিহ্নিত করে আগে থেকেই ব্যবস্থা নেওয়া যাবে।
৫। তাছাড়া কোম্পানী কোন সময়ে কতটুকু অর্ডার নিতে পারবে তাও সেই প্ল্যান শীট থেকে
জানা যাবে।
৬। প্রত্যেকটি
অর্ডারে প্ল্যান Event অনুযায়ী
নির্দিষ্ট লীড টাইমে শুরু ও শেষ হচ্ছে কিনা তা Folow-up করতে
হবে।
যে কোন গার্মেন্টস ও টেক্সটাইল ফ্যাকটরীর জন্য “Production Capacity” খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। এটি কোম্পানী মালিক ও বায়ার
দুই পক্ষের জন্যই সমান গুরুত্বপূর্ণ। কোম্পানি মালিক একটি নির্দিষ্ট Season এ কত পরিমাণ অর্ডার নিতে পারবে ও বায়ার তার চাহিদা একটি
নির্দিষ্ট কোম্পানী থেকে কতটুকু পূরণ করতে পারবে তা ফ্যাকটরীর “Production
Capacity” থেকে সহজেই জানা যায়। তাই যে কোন
গার্মেন্টস ও টেক্সটাইল ফ্যাকটরীর জন্য সঠিকভাবে Production Capacity বের করার পদ্ধতি জানা ও নির্ণয় করা খুব জরুরী। নিচে
গার্মেন্টসের এই সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হল। অন্য আরেকটি লেখায় টেক্সটাইলের “Production
Capacity” সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।
সাধারণত ফ্যাকটরীর মোট মেশিন সংখ্যা ও দৈনিক প্রোডাকশন সংখ্যা দিয়ে “Production Capacity” নির্ণয় করা হয়। এক্ষত্রে ফ্যাকটরীর মোট মেশিন সংখ্যা প্রায় সবসমই সমান থাকে। কিন্তু স্টাইল ও প্রোডাক্ট ক্যাটাগরী অনুযায়ী ডেইলি প্রোডাকশন কিছুটা কম বেশি হয়। সেক্ষেত্রে যদি ফ্যাক্টরীর মোট Available Time ও স্টাইল অনুযায়ী SAM (Standard Allowed Minute) থেকে “Production Capacity” বের করা হয় তাহলে ক্যাপাসিটি অনেক নির্ভুল হয়।
সাধারণত ফ্যাকটরীর মোট মেশিন সংখ্যা ও দৈনিক প্রোডাকশন সংখ্যা দিয়ে “Production Capacity” নির্ণয় করা হয়। এক্ষত্রে ফ্যাকটরীর মোট মেশিন সংখ্যা প্রায় সবসমই সমান থাকে। কিন্তু স্টাইল ও প্রোডাক্ট ক্যাটাগরী অনুযায়ী ডেইলি প্রোডাকশন কিছুটা কম বেশি হয়। সেক্ষেত্রে যদি ফ্যাক্টরীর মোট Available Time ও স্টাইল অনুযায়ী SAM (Standard Allowed Minute) থেকে “Production Capacity” বের করা হয় তাহলে ক্যাপাসিটি অনেক নির্ভুল হয়।
Production Capacity নির্ণয়ের জন্য প্রয়োজনীয় তথ্যসমূহ
1. Factory’s Total Capacity in Hour
2. SAM of Product
3. Average Line Efficiency
Factory’s Total Capacity in
Hour নির্ণয়
প্রথমে ফ্যাক্টরীর মোট মেশিন সংখ্যা এবং প্রতিদিন ফ্যাক্টরী কত ঘন্টা করে তা বের করতে হবে।
প্রথমে ফ্যাক্টরীর মোট মেশিন সংখ্যা এবং প্রতিদিন ফ্যাক্টরী কত ঘন্টা করে তা বের করতে হবে।
ধরা যাক,
ফ্যাক্টরীর মোট মেশিন
সংখ্যা = 1200
প্রতিদিন ফ্যাক্টরী চলে = 10 ঘন্টা।
তাহলে, Factory’s Total Capacity in Hour = 1200*10 hours = 12000 hours
প্রতিদিন ফ্যাক্টরী চলে = 10 ঘন্টা।
তাহলে, Factory’s Total Capacity in Hour = 1200*10 hours = 12000 hours
SAM of Product
SAM হল Standard Allowed Minute। যা একেক প্রোডাক্টের জন্য একেক রকম হয়। সাধারণত কোম্পানীর
Work
Study/IE Department প্রত্যেকটি প্রোডাক্টের জন্য SAM নির্ণয় করে থাকে। এক্ষেত্রে বিগত কয়েক মাসের গড় SAM নিতে
হবে। ধরা যাক, গত তিন মাসের গড় SAM = 22.65
Average Line Efficiency
এই ডাটা
ফ্যাকটরীর IE Department তৈরি ও সংরক্ষণ করে।
এক্ষেত্রেও বিগত কয়েক মাসের গড় Efficiency নিতে হবে। ধরা
যাক, গত তিন মাসের গড় Efficiency = 48%
ফ্যাক্টরীর মোট প্রোডাকশন ক্যাপাসিটি নির্ণয়
ফ্যাক্টরীর মোট প্রোডাকশন ক্যাপাসিটি নির্ণয়ের সূত্রটি
হল-
Factory’s Total Capacity in
pieces = [(Factory’s
Total Capacity in Hour × 60)/SAM of
Product] × Average Line Efficiency
উপরের তথ্য অনুযায়ী, Factory’s Total Capacity in pieces = [(12000 × 60)/22.65] × 48% = 15258 পিছ (প্রায়)
প্রশ্নঃ একটি গার্মেন্টস ফ্যাক্টরীতে মোট 15
টি লাইন আছে। প্রত্যেক লাইনে 48 টি করে মেশিন আছে। যদি প্রতিদিন
ফ্যাক্টরী 10 ঘন্টা করে চলে, প্রত্যেক লাইনে 20 SAM এর গার্মেন্টস প্রোডাকশন হয় এবং 15 লাইনের গড় Efficiency
55% হয় তাহলে ঐ ফ্যাকটরীর দৈনিক Capacity কত?
দেওয়া আছে,
ফ্যাক্টরীর মোট লাইন
= 15, প্রত্যেক লাইনের মেশিন সংখ্যা = 48 এবং দৈনিক ফ্যাক্টরী চলে = 10 ঘন্টা করে
তাহলে, Factory’s Total Capacity in Hour = 15×48×10 hours = 7200 hours
তাহলে, Factory’s Total Capacity in Hour = 15×48×10 hours = 7200 hours
আরো দেওয়া আছে,
15 লাইনের গড় SAM = 20 এবং গড়
Efficiency = 55%
তাহলে সূত্রানুযায়ী,
Factory’s Total Capacity in pieces
= [(Factory’s Total Capacity in Hour × 60)/SAM of Product]
× Average Line Efficiency
= [(7200 × 60)/20] × 55%
= 11880 Pieces